অনলাইনে জব বা অনলাইনে কাজ করে আয় করার বিষয়টি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে ফ্রিলান্স জব (Freelance Job) বা পার্ট টাইম অনলাইন জব (Part Time Online Job) এর বিষয়টি আরও বেশি জনপ্রিয়।
ঘরে বসেই যেহেতু অনলাইনে জব(Online job) গুলো নিজের ইচ্ছামত, যখন খুশি তখন করা যায় তাই এই বিষয়ের প্রতি প্রায় সবারই আগ্রহ রয়েছে।
অন্যদিকে, এসব কাজ গুলো করতে খুব বেশি টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়না, শুধু মাত্র নিজের কোন একটি বিষয়ে ভাল দক্ষতা থাকলে সেই দক্ষতা বা স্কিলকে কাজে লাগিয়ে সহজেই অনলাইনে থেকে আয় করা যায়।
অনলাইন জব করে আয় করার হাজারো উপায় রয়েছে এবং প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। ফলে এসব কাজের যেমন চাহিদা বাড়ছে তেমনি কাজ করার প্রতিযোগিতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই, সব থেকে লাভজনক অনলাইন জব করতে হলে অবশ্যই ভাল ভাবে নিজের স্কিল ডেভেলপ বা কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এতে করে ভবিষ্যতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেড়ে যাবে তেমনি আয়ের পরিমাণ ও অনেক বেশি হবে।
মুলত আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা ধারণা নিতে পারবেন অনলাইনে কি কি ধরনের জব পাওয়া যায়, কোন ধরনের জব গুলো খুবই লাভজনক এবং জনপ্রিয়, এবং কোথায় এসব অনলাইনে জব গুলো পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয় সহ আরও অনেক।
১। ফ্রিলান্স লেখক(Freelance Writer)
আপনার যদি লেখালিখি করতে ভাল লাগে বা লেখালিখিতে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি একজন ফ্রিলান্স রাইটার হিসেবে অনলাইনে নিজের একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে পারেন।
ফ্রিলান্স বা পেশাগত লেখক হিসেবে অনলাইনে কাজ করার খুব ভাল সুযোগ রয়েছে। ছোট, বড়, মাঝারি প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন প্রকারের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন পড়ে।
ফলে, মার্কেটে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষ রাইটার বা লেখকদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ব্লগের জন্য কন্টেন্ট লেখালিখি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ম্যাগাজিন, পত্রিকা বা নিউজপেপার ওয়েবসাইটের জন্য লেখালিখির অনেক কাজ রয়েছে।
এছাড়াও, পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য, প্রোডাক্ট রিভিউ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টসহ অনেক প্রকারের লেখালিখির কাজ রয়েছে।
আপনার আগ্রহ (Interest) আছে এমন যেকোনো একটি বিষয় বা নিশ বাছাই করে লিখালিখির কাজ শুরু করতে পারেন। যেমন, টেকনোলজি, হেলথ, ফ্যাশান, ইত্যাদি।
এই ধরনের কাজ মূলত ঘণ্টা প্রতি বা আর্টিকেল হিসেবে অথবা প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ করা হয়ে থাকে।
কাজের দক্ষতা, কাজের পরিমাণ এবং কি পরিমাণ ক্লাইন্ট রয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিলান্স লেখকদের আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে।
২। সোশ্যাল মিডিয়া মানেজার
আপনি আমি প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করে থাকি। যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, পিন্টারেস্ট সহ আরও অনেক।
এসব প্লাটফর্ম গুলোতে একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তাদের বিজনেস পেজ বা অ্যাকাউন্টগুলোতে নিয়মিত পোস্ট, বিজ্ঞানপনসহ বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের প্রচার প্রচারনা চালায়।
সারা বিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান এসব সচিয়াল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে নিজেদের ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিয়মিত প্রচার প্রচারনা চালায় এবং নির্দিষ্ট গ্রাহক খুজে বের করে।
আর এসব কাজের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের বিজনেস পেজ বা গ্রুপ ম্যানেজমেন্ট করা সহ বেশ কিছু কাজ আছে যেগুলো করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের প্রয়োজন পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা(Social Media Manager) সাধারনত যেসব কাজ করে থাকে যেমন, প্রতিষ্ঠান বিজনেস গ্রুপ বা পেজ গুলোতে নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করা, গ্রাহকদের সেবা প্রদান, গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্ন বা সমস্যার সমাধান দেয়া, নিয়মিত গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ, পেইড ক্যাম্পেইন চালানো, পেজ ডেটা এনালাইসিস করা, ডেটা কালেকশন করা, অর্থাৎ পেজ ম্যানেজমেন্ট করার যাবতীয় বিষয় বা কাজ গুলো করতে হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে অনলাইনে জব করার দারুন সুযোগ রয়েছে। দেশী বা বিদেশী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ফ্রিলান্স অথবা ফিক্সড জব হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।
৩। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় অনলাইন জব হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট(Virtual Assistant)।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রা সাধারনত যেসব কাজ করে থাকেন যেমন, কোন ক্লাইন্ট বা প্রতিষ্ঠানের মিটিং ম্যানেজ করা, গ্রাহক সেবা প্রদান, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজমেন্ট, ব্লগ পোস্টিং, ব্লগ ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল করা, ইমেইল অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করা, বিভিন্ন ধরনের ডেটা কালেক্ট, ডেটা এনালাইসিস, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা রিপোর্ট করা, ইত্যাদি সহ আরও অনেক গুলো কাজ রয়েছে।
অনলাইনে এমন অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের এসব নিত্যনৈমিত্তিক কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
দেশী বা বিদেশী যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম জব করা যেতে পারে।
এছাড়াও, বিভিন্ন ফ্রিলান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ওপর অনেক কাজ পাওয়া যায়, আপনি চাইলে এসব ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসেও কাজ করতে পারেন।
৪। অনলাইন টিউটর
আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে খুব ভাল দক্ষ হয়ে থাকেন বা কোন বিষয়ে আপনার যদি ভাল অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে সেই বিষয় বা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে একজন টিউটর হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এবার সেটা হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভাষা শিক্ষাদান, একাডেমিক পড়াশুনা সহ অন্য যেকোনো বিষয়।
অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কোন একটি বিষয়ের ওপর অনলাইন টিউটর হিসেবে যোগদান করে ভাল পরিমাণ আয় রোজগার করা যায়।
এছাড়াও, আপনি কোন একটি বিষয়ের ওপর অনলাইন কোর্স তৈরি করে সেটা অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে, Udemy হল সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেখানে আপনার তৈরি করা কোর্স সমুহ বিক্রি করতে পারবেন।
পাশাপাশি আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে পেইড মেম্বারশিপ অর্থাৎ যেখানে একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে স্টুডেন্টরা আপনার টিউটোরিয়াল বা কোর্স গুলো দেখবে।
এক্ষেত্রে, অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং করে অথবা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে গ্রাহক বা স্টুডেন্ট খুজে বের করতে হবে।
৫। এসইও এক্সপার্ট
বর্তমানে মার্কেটে এসইও এক্সপার্টদের খুবই চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে প্রতিদিনই নতুন নতুন কোম্পানি বের হচ্ছে।
আর এসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট গুলোকে সার্চ রাঙ্কিং(Search Ranking) এ নিয়ে আসার জন্য তারা প্রোফেসনাল এসইও এক্সপার্টদের হায়ার করে থাকে।
একজন এসইও এক্সপার্ট(SEO Expert) হিসেবে ওয়েবসাইটকে সার্চ র্যাঙ্ক এ নিয়ে আসার জন্য যাবতীয় কাজ যেমন- ওয়েবসাইটকে ভালভাবে সার্চ ফ্রেন্ডলি করা, ওয়েবসাইটের এসইও এনালাইসিস করা, অন পেজ এসইও, কিওয়ার্ড রিসার্চ, এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট পাবলিশ, লিঙ্ক বিল্ডিং, কন্টেন্ট প্রোমোশন সহ আরও অনেক ধরনের কাজ করতে হয়।
আর এসব কাজগুলো করার জন্য ছোট, বড়, মাঝারি বা দেশী, বিদেশী যেকোনো যেকোনো প্রতিষ্ঠানই এখন খুব ভাল দামে এসইও এক্সপার্টদের কাজ দিয়ে থাকে।
তাই, আপনিও যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য এসইও এক্সপার্ট হিসেবে অনলাইনে কাজ করতে পারেন।
তাছাড়া, এখন দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানেরই ওয়েবসাইটগুলো সার্চ র্যাঙ্ক এ নিয়ে আসার জন্য লোকাল এসইও এক্সপার্টদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। চাইলে লোকাল কোম্পানিতে অর্থাৎ দেশী প্রতিষ্ঠান এর হয়েও কাজ করতে পারেন।
৬। গ্রাফিক ডিজাইন
বর্তমান মার্কেটে সব থেকে জনপ্রিয় এবং সেরা অনলাইন জব বা ফ্রিলান্সিং জব গুলোর মধ্যে অন্যতম হল গ্রাফিক ডিজাইন।
গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনলাইনে প্রচুর Demand বা চাহিদা রয়েছে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে অনলাইনে দারুন ভাবে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করা যায় এবং বেশ ভাল পরিমাণ আয় করার সুযোগ রয়েছে।
আপনার যদি ডিজাইন সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকে এবং এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অনলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রচুর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান, ব্লগ, বা ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ধরনের গ্রাফিক্স এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার ফলে মার্কেটে এখন গ্রাফিকস ডিজাইনের ওপর অনেক কাজ পাওয়া যায়।
যেহেতু গ্রাফিক ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রি টি অনেক বড় এবং এর অনেক গুলো ক্যাটেগরি বা কাজের ক্ষেত্র রয়েছে, তাই গ্রাফিক ডিজাইনের কোন একটি ক্যাটেগরি বা বিষয় বাছাই করে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা যেতে পারে।
ক্ষেত্র বিশেষে, গ্রাফিক ডিজাইনারদের চাহিদা একেক রকম অর্থাৎ কম বা বেশিও হতে পারে এবং আয়ের পরিমাণ ও ভিন্ন হয়ে থাকে।
৭। ওয়েবসাইট ডিজাইন
যাদের ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ভাল দক্ষতা আছে, তারা চাইলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়ার মাধ্যমে অনলাইন জব করতে পারেন।
অনলাইনে যেসকল High Paying Online Job বা দামী কাজ রয়েছে, তার মধ্যে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট অন্যতম।
কেননা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে আসতে হলে বা অনলাইনে নিজেদেরকে তুলে ধরতে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরী।
যার ফলে, ওইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু করে ডেভেলপমেন্ট করার জন্য পেশাদার ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপারদের দরকার হয়ে থাকে।
বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। পাশাপাশি এ ধরনের কাজ করার জন্য দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন লক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
সুতরাং, আপনি যদি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং ভাল পরিমাণ আয় করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
৮। Transcriptionist
আপনি যদি সহজ অনলাইন জব বা কাজ করতে চান তাহলে একজন Transcriptionist বা অনুবাদক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। যদিও এধরনের কাজগুলো করতে কিছুটা স্কিলের প্রয়োজন হয়।
Transcription বা অনুবাদ সম্পর্কিত কাজ গুলোর মার্কেটে প্রচুর Demand বা চাহিদা রয়েছে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানই এধরনের অনলাইন জব অফার করে থাকে।
অনুবাদকরা মূলত একটি ভাষা থেকে অন্য আরেকটি ভাষায় কনভার্ট করে থাকে।
ধরুন, কেউ একজন চাচ্ছে কোন একটি আর্টিকেল বাংলা থেকে ইংরেজিতে লিখতে কিন্তু সময়ের অভাব অথবা ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতার কারনে অন্য মানুষদের এসব কাজ দিয়ে থাকে, যারা এই বিষয়ে ভাল পারে।
এছাড়াও অনুবাদের আরেকটি জনপ্রিয় কাজ হল কোন একটি অডিও ফাইল থেকে সেটি টেক্সট এ কনভার্ট করা। অর্থাৎ অডিও বা ভিডিও তে যা যা বলা হবে সেগুলো আপনি টেক্সট আকারে লিখে আপনার ক্লাইন্টকে জমা দিবেন।
এই কাজটি অনেকটা অনলাইন টাইপিং জব এর মত। এই কাজটি করার জন্য আপনার টাইপিং স্পীড ভাল থাকতে হবে এবং খুব ভাল মনযোগী হতে হবে।
৯। Customer Service Representative- অনলাইন গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি
Customer Service Representative বা গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিরা মুলত অনলাইনে কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে থাকে।
আপনি যেমন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে Customer Care থেকে জেনে নেন। ঠিক তেমনি গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিরা কোন প্রতিষ্ঠান এর হয়ে গ্রাহকদের কে বিভিন্ন তথ্য প্রদান বা সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের গ্রাহকদের সেবা প্রদান করা দরকার হয়ে থাকে। সেটা হতে পারে ওয়েবসাইট থেকে, কোন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বা পেজ থেকে, ইমেইলের মাধ্যমে অথবা অন্য যেকোনো উপায়ে।
যাইহোক, আপনিও একজন গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি হিসেবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে অনলাইনে গ্রাহক সেবা প্রদান করতে পারেন।
এক্ষেত্রে, আপনি যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করবেন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনাকে ভালভাবে জেনে নিতে হবে।
তাই, আপনার যদি হাতে যথেষ্ট সময় থাকে, সেক্ষেত্রে একজন পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম জব হিসেবে অনলাইনে গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে পারেন।
১০। ওয়ার্ডপ্রেস জব
বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট এবং ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের মার্কেটে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেস মুলত একটি ওয়েব সফটওয়্যার এবং কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যেটিকে ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং ম্যানেজমেন্ট করা যায়।
অনলাইনে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। একজন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হিসেবে ফ্রিলান্স জব এর পাশাপাশি ফিক্সড জব করারও ভাল সুযোগ রয়েছে।
মার্কেটে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট মেইনটেইন, স্পীড অপ্টিমাইজেশন, ওয়েবসাইট সিকিউরিটি, ওয়েবসাইট এর error বা বিভিন্ন প্রকারের সমস্যার সমাধান সহ আরও অনেকগুলো কাজের ক্ষেত্র রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের থিম পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহার এবং কাস্টমাইজ করে যেকোনো ধরনের প্রোফেসনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
সুতরাং, আপনি যদি খুব ভাল ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার নাও হয়ে থাকেন, তারপরও বিভিন্ন থিম এবং প্লাগিন এর ব্যবহার ভাল ভাবে শিখে নিতে পারলে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
পরিশেষেঃ
ঘরে বসে অনলাইন জব বা অনলাইনে চাকুরি করার অনেক রকম পথ তৈরি হয়েছে এবং দিন দিন নতুন নতুন কাজের সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সাথে কাজ করার প্রতিযোগিতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ওপরে উল্লেখিত যেসব অনলাইন জব এর তালিকা(List of Online Jobs) দেয়া হয়েছে, এই সব ছাড়াও অনলাইনে এমন হাজারো জব রয়েছে।
যেগুলো পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম জব হিসেবে অনলাইনে থেকে আয় করা যায়।
যাইহোক, আপনিও যদি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার দাড় করাতে চান এবং অনলাইন থেকে আয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এরপর বিভিন্ন ফ্রিলান্স ওয়েবসাইট গুলোতে অথবা সরাসরি কোন প্রতিষ্ঠানে ফিক্সড জব করা যেতে পারে।