সঠিক উপায়ে ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম-নতুনদের জন্য

You are currently viewing সঠিক উপায়ে ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম-নতুনদের জন্য

নতুন ব্লগারদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিভাবে সঠিক উপায়ে ব্লগে পোস্ট লিখতে হয় বা ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম গুলো কি কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে খুব ভালো জানেনা।

যার ফলে, ব্লগের জন্য ভালো পোস্ট তৈরি করা অনেকের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়। পাশাপাশি সঠিকভাবে পোস্ট না লেখার জন্য ব্লগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লিক বা ভিজিটর পাওয়া সম্ভব হয়না।

কেননা, সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম পেজ এ থাকতে হলে এবং বেশি পরিমানে ট্রাফিক বা ভিজিটর পেতে হলে অবশ্যই ভালো মানের পোস্ট লেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এক্ষেত্রে, সব থেকে সেরা এবং ভালমানের Blog Post তৈরি করার জন্য অবশ্যই ব্লগ পোস্ট লেখার সঠিক নিয়ম বা Search Engine Optimization সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা আবশ্যক।

যাইহোক, আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি ধারণা নিতে পারবেন, কিভাবে ব্লগের জন্য সেরা পোস্ট লিখতে হয় (How to Write a Good Blog Post), ব্লগ লেখার নিয়ম বা ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম গুলো কি কি এবং পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হয় ইত্যাদি বিষয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু গাইডলাইন।

১। টপিক বাছাই এবং প্রয়োজনীয় রিসার্চ করা – Keyword Research

ব্লগে পোস্ট লেখার আগে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল ব্লগের জন্য পোস্ট টপিক আইডিয়া খুজে বের করা। অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সেটি প্রথমেই আপনাকে বাছাই করে নিতে হবে।

কেননা, সঠিকভাবে টপিক বাছাই করতে না পারলে ভালমানের আর্টিকেল লেখা সম্ভব হয়না, যার ফলে সেই পোস্ট থেকে ভিজিটর পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায়।

ব্লগ পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি বিষয় বা টপিক বাছাই করতে হবে, যে বিষয় আপনার ব্লগের নিশের সাথে সম্পর্কিত, যে বিষয় নিয়ে মানুষ নিয়মিত সার্চ করে থাকে.

এরপর আপনাকে সেই টপিক নিয়ে রিসার্চ করতে হবে, যেমন সেই টপিক নিয়ে মানুষ সার্চ করে কিনা, টপিকটির প্রতি মানুষের আগ্রহ কেমন, কিওয়ার্ড সার্চ ভলিউম, কম্পিটিশন কেমন, অন্যদের কন্টেন্ট কোয়ালিটি বা ধরন কেমন, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সঠিকভাবে রিসার্চ করে নিতে হবে।

এক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ফ্রি টুলসগুলো যেমন Google Keyword Planner, Google Trends, UberSuggest, keywordtool.io, Ahrefs Keyword Generator (Free) ইত্যাদি টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

২। একটি Short Note বা আউটলাইন তৈরি করে নেয়া

পোস্ট লিখার জন্য টপিক বাছাই এবং প্রয়োজনীয় রিসার্চ করার পর আপনার কাজ হবে সেই টপিক এর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত নোট(Short Note) বা আউটলাইন(Outline) তৈরি করে নেয়া। যদিও এটা করা বাধ্যতামুলক নয়।

কিন্তু, একটি আউটলাইন তৈরি করে রাখলে খুব সহজেই আর্টিকেল লিখার একটি প্লান করে নেয়া যায়। অর্থাৎ আপনি যখন কিওয়ার্ড বা টপিক নিয়ে রিসার্চ করবেন তখন আপনার সেই টপিক নিয়ে অনেকগুলো বিষয় মাথায় চলে আসবে যেগুলো

আপনি আপনার কন্টেন্ট এর মধ্যে ব্যবহার করতে চান। কিন্তু অনেক সময়ই সেই বিষয়গুলো মনে থাকেনা। যার ফলে একটি শর্ট নোট না কন্টেন্ট প্লান করে নিলে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো লিখতে অনেক সুবিধা হয়।

সুতরাং আপনাকে অবশ্যই পোস্ট লিখার আগে একটি কন্টেন্ট প্লান বা আউটলাইন তৈরি করে তারপর লিখা শুরু করতে হবে।

আউটলাইন তৈরি করে নেয়ার জন্য আপনার কন্টেন্ট কে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিয়ে তারপর লিখতে পারেন, যেমন

  • Introduction-ভুমিকা
  • Description- বিস্তারিত বর্ণনা
  • Conclusion- উপসংহার

এভাবে কন্টেন্ট গুলোকে সাজালে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোথায় কি লিখতে হবে, এবং কি ধরনের তথ্য যুক্ত করতে হবে, এতে করে আপনার লিখার কাজটি অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৩। পোস্টের আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করা

ব্লগ পোস্ট এর জন্য একটি আকর্ষণীয় পোস্ট টাইটেল (Post Title) ব্যবহার করা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, টাইটেল লিখা যত বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে, ততই বেশি ক্লিক এবং ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনি যদি খুব ভাল মানের পোস্ট লিখে থাকেন, কিন্তু যদি সেই পোস্ট এর টাইটেল সঠিকভাবে লিখতে না পারেন তাহলে আপনার সেই পোস্ট থেকে ভিজিটর বা ক্লিক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

মূলত, পোস্ট এর টাইটেলই বলে দেয় সেই পোস্ট কি সম্পর্কে লিখা অর্থাৎ একটি টাইটেল এর মাধ্যমেই পুরো পোস্ট সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেয়া যায়।

তাছাড়া, ভিজিটররা সার্চ রেজাল্ট এ থাকা পোস্ট এর টাইটেলটিকেই সর্ব প্রথম দেখতে পায়, আর এখান থেকেই তারা সিধান্ত নেয় যে কোন লিংক বা টাইটেল এ ক্লিক করবে।

তাই সঠিক ভাবে একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ব্যবহার করতে হবে যেন ভিজিটররা খুব সহজেই টাইটেল দেখে পোস্ট পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়।

তবে, টাইটেলটি যতটা সম্ভব ছোট করে লিখতে হবে এবং মুল কিওয়ার্ড অবশ্যই টাইটেলটিতে ব্যবহার করতে হবে।

৪। আকর্ষণীয় Introduction বা ভুমিকা লিখা

ভিজিটরকে সহজেই আকৃষ্ট করার জন্য একটি আকর্ষণীয় ভুমিকা লিখাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা, এখান থেকেই বেশিরভাগ পাঠকরা মূলত পুরো পোস্ট পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এক্ষেত্রে, পোস্ট এর শুরুটা অর্থাৎ ভুমিকা লেখা যদি ভালো না হয় এবং পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেই পোস্ট এ বাউন্স রেট অনেক বেড়ে যায়।

অর্থাৎ ভিজিটররা পুরো পোস্ট দেখার আগেই পোস্ট থেকে লেফট নেয় বা দ্রুত পোস্ট ত্যাগ করে। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই ভেবে চিনতে এমন একটি ভুমিকা উপস্থাপন করতে হবে যেন, ভিজিটররা মনে করে এই পোস্ট অবশ্যই তাদের পড়া বা দেখা উচিত।

এক্ষেত্রে ভিজিটররা কি চায়, তাদের সমস্যা গুলো কি, এবং কিভাবে এই পোস্ট থেকে লাভবান হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ করা যেতে পারে। এককথায়, আপনাকে আগে ভিজিটরদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। যেন তারা পুরো পোস্টটি পড়ার প্রতি মনযোগী হয়।

৫। সাব হেডিং এর ব্যবহার

অনেক বড় প্যারাগ্রাফ গুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার জন্য প্রয়োজনে সাব হেডিং ব্যবহার করতে হবে।

এতে যেমন অনেক বড় অনুচ্ছেদ ছোট অংশে ভাগ করে লিখা যায় তেমনি লেখার মধ্যেও আকর্ষণীয় ভাব চলে আসে।

সেই সাথে ভিজিটরদের মনোযোগও অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সাব হেডিং এর ব্যবহার খুবই গুরুত্ব বহন করে।

আর তাই, আপনার কন্টেন্ট অনুসারে আপনি সাব হেডিং গুলো ব্যবহার করতে পারেন, যেমন H2, H3, H4 ইত্যাদি।

৬। ছবি/গ্রাফিকস/ভিডিও ব্যবহার করা

ব্লগ পোস্টটিকে আরও সুন্দরভাবে প্রদর্শন করার জন্য এবং ভিজিটরদেরকে সহজে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিও এবং গ্রাফিকস ব্যবহার করা যেতে পারে।

একটি পোস্ট এ সব থেকে বেশি যে জিনিসটি নজর কাড়ে সেটি হল ইমেজ(image) বা গ্রাফিক্স (Graphics)।

তাছাড়া, একটি ইমেজ বা ছবির এর মাধ্যমে যে বিষয়গুলো বা ভাব সহজে প্রকাশ করা যায়, তা হাজারটা শব্দের থেকেও উত্তম।

তাই যদি সম্ভব হয়, তাহলে আপনার পোস্ট এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং গ্রাফিকস ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া, পোস্ট এর জন্য আকর্ষণীয় Featured Image যুক্ত করা যেতে পারে ভিজিটরদের সহজেই আকৃষ্ট করার জন্য। এতে করে আপনার পোস্ট এ ভিজিটরদের Engagement বা সেশন অনেক বেড়ে যাবে।

পাশাপাশি, আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো ব্লগ পোস্ট এ Embed করতে পারেন, এতে করে পেজ ভিউ হওয়ার সাথে সাথে ভিডিওর ভিউ অনেক বেশি হবে এবং পেজের বাউন্স রেট অনেক কমে আসবে।

৭। Use Short Paragraph – ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখা

বাক্য(Sentence) এবং অনুচ্ছেদ(Paragraph) যতটা সম্ভব ছোট করে লেখাই সব থেকে ভাল। এতে যেমন লেখাকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় লাগে তেমনি পুরো আর্টিকেল প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, পোস্ট এর প্যারাগ্রাফ এবং বাক্য যদি খুব বেশি লম্বা বা বড় হয়, সেক্ষেত্রে লেখার সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাক্য বুঝতে অনেক সমস্যা হয়। তাছাড়া, পাঠকদের জন্য পুরো পোস্ট পড়ার প্রতি ধর্য হারিয়ে যায়।

যার ফলে সেই পোস্ট এ বাউন্স রেট অনেক বেড়ে যায় এবং সার্চ র‍্যাঙ্কিং এ মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে। নতুনদের মধ্যে অনেকেই এই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়না।

কিন্তু, একটি ভালমানের পোস্ট এর বৈশিষ্ট্যই হল বাক্যে ব্যবহৃত ভাষা বা শব্দগুলো অনেক সহজ ও সাবলীল হবে, বাক্য এবং অনুচ্ছেদ ছোট আকারে লিখা থাকবে।

৮। ব্যাকরণগত ভুল না থাকা- Avoid Grammatical Errors

লেখার মধ্যে যদি ব্যাকরণগত ভুল(Grammatical Error) থাকে তাহলে সহজেই ভিজিটর এবং পাঠকদের মধ্যে পোস্ট পড়ার আগ্রহ নষ্ট হয় বা আস্থা কমে যায় এবং সেই লেখার গুণগত মানও নষ্ট হয়ে যায়।

যার ফলে পোস্টের বাউন্স রেট (Bounce Rate) অনেক বেড়ে যায় অর্থাৎ ভিজিটরদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

সুতরাং, ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে লিখতে হবে, যেন বানান শুদ্ধ হয় এবং বাক্যের গঠন ঠিক থাকে, অর্থাৎ লেখায় যেন কোন ধরনের ব্যাকরণগত ভুল না থাকে।

একটি ভালমানের পোস্ট লিখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্লগ লেখার নিয়ম বা ব্যাকরনের সঠিক নিয়মগুলো জানা দরকার।

কেননা, মুখের ভাষার থেকে লেখার ভাষায় অনেক ফর্মালিটি (Formality) বা নিয়ম কানুন বেশি মেনে চলতে হয়।

আর তাই, প্রয়োজনে একটু সময় নিয়ে, পোস্ট প্রকাশ করার আগে সঠিক ভাবে পুরো পোস্ট পুনরায় রিভিশন দিতে হবে যেন কোন ধরনের ব্যাকরণ গত ভুল না থাকে।

৯। সঠিক ভাবে কিওয়ার্ড এর ব্যবহার

এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ পোস্ট(SEO Friendly Blog Post) লিখার জন্য বাছাইকৃত কিওয়ার্ড(Targeted Keyword) এর সঠিক ব্যবহার করা জরুরী।

অর্থাৎ, আপনার পোস্ট টিকে সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম পেজে নিয়ে আসার জন্য পোস্ট টিকে সঠিকভাবে অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন(On Page SEO Optimization) করা জরুরী।

এক্ষেত্রে অন পেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল Main Keyword বা মুল কিওয়ার্ড এর ব্যবহার।

আপনার টার্গেট করা কিওয়ার্ড পোস্ট এর মধ্যে যে যে অংশে বসাবেন, যেমন-

  • পোস্ট টাইটেল (Post Title) এ ব্যবহার করুন
  • ভুমিকায় (Introduction) এ। (অনেকের মতে আর্টিকেল শুরুর ১০০ শব্দের মধ্যে মুল কিওয়ার্ড টিকে ব্যবহার করা উত্তম)
  • ইমেজ (Image Alt Text হিসেবে)
  • সাব হেডিং গুলোতে
  • Meta Description
  • Permalink/URL
  • কন্টেন্ট এর মাঝে এবং শেষ অংশে ব্যবহার করা

পোস্ট এর মধ্যে কিওয়ার্ড ভালভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড ডেনসিটি (Keyword Density) এর ব্যাপারেও খুব সজাগ থাকতে হবে, যেন মুল কিওয়ার্ড টি খুব বেশি ব্যবহার করা বা Over Optimize না হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে, মুল কিওয়ার্ড এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য কিওয়ার্ডগুলো অর্থাৎ সহযোগী বা Related keyword গুলোও ব্যবহার করতে হবে।

১০। পোস্ট এর মধ্যে Internal and External Link ব্যবহার করা

আর্টিকেলের মধ্যে Internal এবং External লিংক ব্যবহার করাও ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম গুলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

তাছাড়া, একটি এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে সঠিক উপায়ে Internal এবং External লিংক যুক্ত করতে হয়।

অর্থাৎ, আপনি আপনার ব্লগ পোস্ট এর ভেতরে ব্লগে পূর্বে পাবলিশ করা পোস্টগুলোর লিংক যুক্ত করতে পারেন।

এতে করে ভিজিটর বা পাঠকরা আপনার একটি পোস্ট থেকেই অন্য পোস্ট গুলোও ভিজিত করবে, ফলে আপনার পেজ ভিউ এর পরিমাণও বেড়ে যাবে। পাশাপাশি সার্চ র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রেও অনেক কাজে আসবে।

তাছাড়া পোস্ট টিকে ভিজিটরদের জন্য আরও useful বা উপযোগী করে তোলার জন্য় অতিরিক্ত Resources বা ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করতে হয়। যেগুলো মূলত External Link হিসেবেই পরিচিত।

পোস্ট এর মধ্যে external link ব্যবহার করলে যেমন ভিজির বা পাঠকরা উপকৃত হয় তেমনি সার্চ ইঞ্জিনে গুলোর চোখেও এটি বেশ ভাল।

১১। Permalink/ URL সঠিক ভাবে লিখা

এটি মূলত হচ্ছে আপনার পোস্ট এর লিংক (Link)। অর্থাৎ যেই লিংক ব্যবহার করে ভিজিটররা আপনার পোস্ট খুজে পাবে।

যাইহোক, একটি পোস্ট এর জন্য সঠিকভাবে URL বা Permalink যুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনপেজ এসইও এর ক্ষেত্রে URL/Permalink এ মুল কিওয়ার্ড ব্যবহার করাও অনেক জরুরী। মূলত, সঠিকভাবে ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম গুলো মধ্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কেননা, সার্চ ইঞ্জিন গুলো এই বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাছাড়া, ভিজিটররা সার্চ রেজাল্ট এ থাকা একটি পোস্ট বা লিংক এ ক্লিক করার আগে পোস্ট টাইটেল দেখার পাশাপাশি URL বা পোস্ট এর লিংক ও দেখে থাকে।

অর্থাৎ কন্টেন্ট বা পোস্টটি কি সম্পর্কে লিখা হয়েছে সেটি লিংক থেকেও কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।

সুতরাং, আপনাকে আপনার পোস্ট এর জন্য যতটা সম্ভব ছোট URL ব্যবহার করতে হবে এবং সম্ভব হলে পোস্ট এর কিওয়ার্ড ও ব্যবহার করতে হবে।

যদিও পোস্ট এর লিংক বা URL পরিবর্তন যোগ্য কিন্তু তা পরিবর্তন না করাই শ্রেয়। পরিবর্তনের ফলে আপনার সেই পোস্ট এর জন্য error বা 404 error দেখাবে। যা সার্চ ইঞ্জিনের জন্য খুব মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

১২। Post Category ও Tag ব্যবহার

পোস্ট গুলোকে সুন্দর ভাবে সাজানো এবং সহজে খুজে পাওয়ার জন্য পোস্ট ক্যাটেগরি(Category) তৈরি করে সে অনুযায়ী পোস্ট পাবলিশ করতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখবেন সেটি কোন ক্যাটেগরিতে পড়ে সেটি নির্ধারণ করে পোস্ট পাবলিশ করতে পারেন। এতে করে, পাঠকরা নিজেদের পছন্দমত ক্যাটেগরি বেছে নিয়ে পোস্ট গুলো দেখতে পারবে।

এছাড়া, ব্লগ পোস্ট টিকে আরও ভালভাবে সাজানো বা অপ্টিমাইজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাগ এর ব্যবহার করতে হবে।

১৩। Post Revision and Publish – ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম

পোস্ট লিখা সম্পন্ন হয়ে গেলে পুরো পোস্ট টিকে আরেকবার ভাল ভাবে দেখে নিতে হবে বা রিভিশন দিতে হবে, যেন কোন ধরনের ভুল থাকলে সেগুলো পুনরায় সংশোধন করা যায়।

এছাড়াও, পোস্ট এ কোন ধরনের রিসোর্স বা অতিরিক্ত কোন তথ্য দেয়া বাকি থাকলে সেগুলোও যুক্ত করা যেতে পারে।

সর্বোপরি, আপনাকে পোস্ট পাবলিশ করার আগে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা সেটি দেখে নিয়ে তারপর পোস্ট পাবলিশ করতে হবে।

পরিশেষেঃ

ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল কন্টেন্ট লেখা (Content Writing) বা ব্লগের জন্য পোস্ট তৈরি করা। কেননা, আপনার ব্লগে ভিজিটররা আসবে শুধুমাত্র আপনার ব্লগের পোস্ট এর জন্যই।

তাই, ব্লগে ভিজিটর বাড়াতে এবং ভিজিটর ধরে রাখতে ভালমানের পোস্ট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, ভালমানের অর্থাৎ হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট(High Quality Content) বা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল(SEO Friendly Article) লিখার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্লগে লেখার নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হয়।

এতে যেমন খুব দ্রুত সার্চ র‍্যাঙ্কিং(Search Ranking) এ আসা যায় তেমনি অধিক পরিমাণ ভিজিটরও পাওয়া যায়।

যদিও পোস্ট লিখা বা কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য যথেষ্ট ধর্য এবং পরিশ্রমের দরকার হয়, নতুনদের মধ্যে অনেকেই ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলেনা।

ফলশ্রুতিতে সেই পোস্ট থেকে আশানুরুপ ফলাফল লাভ করা যায় না। তাই, প্রয়োজনে একটু সময় নিয়ে, ভালভাবে রিসার্চ করে তারপর ভালমানের পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা শুরু করতে হবে।

This Post Has One Comment

  1. রায়হান

    আপনার লেখা এবং ওয়েবসাইটের লেআউট দুইটাই ভাল লেগেছে। Oceanwp দিয়ে এত সুন্দর ক্লিন সাইট তৈরি করা যায় জানতাম না।

Leave a Reply