ফেসবুক থেকে আয় করার ৭টি দারুন উপায়

You are currently viewing ফেসবুক থেকে আয় করার ৭টি দারুন উপায়

বর্তমান বিশ্বে সব থেকে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেসবুক। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর তুলনায় ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সব থেকে বেশি। Statista এর তথ্যমতে ফেসবুকে মাসিক প্রায় ২.৮৯ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। 

বেশীরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী এটিকে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু যেকেউ চাইলে ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে। 

বিশ্বের ছোট, বড় বহু রকমের ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠছে ফেসবুককে কেন্দ্র করে। ফেসবুকের মাধ্যমে সহজেই অধিক গ্রাহক এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় বিধায়, Personal Branding থেকে শুরু করে, Product Promotion, Customer Targeting & Attraction, Brand Promotion সহ আরও অনেক গুলো কাজ হয়ে থাকে ফেসবুকের মাধ্যমে। 

যাইহোক, এই পোস্ট থেকে মূলত ধারণা পাওয়া যাবে, কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায় (How to Make money on Facebook), ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো কি কি, অর্থাৎ ফেসবুকে টাকা আয় করার যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।

১। ফেসবুকে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে আয়

ফেসবুক থেকে আয় করার অন্যতম এবং জনপ্রিয় একটি উপায় হল ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা। বর্তমানে, ফেসবুকের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে আয় করার বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বিশেষ করে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা ইকমারস প্রতিষ্ঠানের জন্যও ফেসবুক এখন মুখ্য একটি ভুমিকা পালন করছে।

আপনার কাছে যদি কোন ধরনের প্রোডাক্ট থাকে বা আপনি এমন কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন যেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে চান। সেক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে পারেন।

যেকেউ চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের তৈরি করা কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারে।অর্থাৎ আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার বিজনেস কে অনলাইনে নিয়ে আসতে পারবেন। যেহেতু ফেসবুকে প্রচুর সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে, সেহেতু আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করার মত অনেক কাস্টমার পেতে পারেন।

সেজন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর আপনি চাইলে সেখানে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট করার মাধ্যমে অন্যদেরকে আকৃষ্ট করতে পারেন। ফেসবুক পেজ এ পর্যাপ্ত Fans/Followers বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার ব্যবসার পরিচিতি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনি নতুন অনেক গ্রাহক পাওয়া বা বিক্রির পরিমাণও বেড়ে যাবে।

তাছাড়া, ফেসবুকে এমন অনেক পেইজ বা গ্রুপ, যেমন- Local Buy and Sell নামের গ্রুপ আছে, যেগুলোতে যুক্ত হয়ে নিজস্ব পণ্য বা সেবা বিক্রি করার সুযোগ থাকে। চাইলে সেইসকল পেজ অথবা গ্রুপ এ একজন অ্যাক্টিভ মেম্বার হিসেবে যুক্ত হয়ে নিজের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে অন্যদেরকে জানানো তথা বিক্রি করা যেতে পারে।

এছাড়াও, ফেসবুকে যেকোনো ধরনের পণ্য বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে Facebook Marketplace নামের একটি চমৎকার ফিচার রয়েছে। যেখানে পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে পণ্য ডিসপ্লে করা যায় এবং এখান থেকেই পণ্য সরাসরি বিক্রি করা যায়।

২। ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় (Facebook Video Monetization)

ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের বিশেষ করে Content Creator দের জন্য দারুন একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। যেটি হল ফেসবুক ভিডিও মানিটাইজেশন (Video Monetization) বা In-Stream Ads। অর্থাৎ ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওর মধ্যে Ads বা Advertisements দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।

মূলত, এটি অনেকটা ইউটিউব ভিডিওর মত, যেখানে ভিডিওর মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স কর্তৃক Advertisements দেখানো হয় এবং সেই Advertisements দেখানোর বিনিময়ে যেমন ইউটিউব চ্যানেলের মালিকরা নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট পেয়ে থাকেন, ঠিক তেমনি ফেসবুকেও এরকম ভাবে ভিডিওর মাঝে Advertisements তথা In-Stream Ads দেখানোর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে নির্দিষ্ট একটি Revenue পাওয়া যায়।

সুতরাং, আপনি চাইলে ফেসবুকে একটি পেইজ তৈরি করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে এবং ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে, ভিডিওতে Ads বা In-Stream Ads দেখানোর জন্য অবশ্যই ভিডিওটিকে ফেসবুক কর্তৃক আপ্রুভাল(Approval) পেতে হবে।

অর্থাৎ ভিডিওটিকে Facebook Video Monetization এ নিয়ে আসার জন্য ফেসবুক নির্দেশিত কয়েকটি Requirements বা নির্দেশাবলী পুরন করতে হবে। এবং সেই নির্দেশাবলী গুলো মেনে আপ্রুভাল পেলে তাহলেই কেবল ভিডিওর মাঝে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করা যাবে।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে এবং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কি পরিমাণ আয় হবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ভিডিও এর কন্টেন্ট কোয়ালিটি এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের চাহিদার ওপর।

৩। ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ থেকে আয়

নিজের পরিচিতি বৃদ্ধি করা কিংবা ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারনার জন্য ফেসবুক পেজ এর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। বর্তমানে ইকমারস বিজনেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাজে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গ্রাহকদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে এবং নতুন নতুন গ্রাহক বা ফলোওয়ার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়ে থাকে।

Facebook Page থেকে টাকা আয় করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হলে প্রথমত একটি পেজ তৈরি করে নিতে হবে এরপর সেই পেজ এ নিয়মিত কন্টেন্ট বা পোস্ট পাবলিশ করে যেতে হবে। ভালমানের কন্টেন্ট বা পোস্ট করার মাধ্যমে খুব সহজেই অধিক ফ্যান/ফলোওয়ার আকৃষ্ট করা যায়।

এরপর আপনি চাইলে আপনার পেজটিকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন, যেমন পেইজ এর মাধ্যমে আপনার তৈরি করা কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা স্পন্সর পোস্ট করেও টাকা আয় করতে পারেন। পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার কাজেও ফেসবুক পেজ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পুরাতন অনেক ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ এর বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে, চাইলে অধিক ফ্যান/ ফলোওয়ার সমৃদ্ধ ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারেন।

পাশাপাশি ফেসবুক পেজ এর মত ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রুপ এ পর্যাপ্ত মেম্বার থাকলে মেম্বারদেরকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবা অফার করার মাধ্যমে আয় করা যেতে পারে।

গ্রুপের মালিকরা সাধারনত বেশ কয়েকটি উপায়ে Facebook Group থেকে টাকা আয় করতে পারে, সেটা হতে পারে নিজেদের তৈরি করা কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করা, অথবা Affiliate Sales, Company Sponsor Posts or Product Promotion, ইত্যাদি সহ ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার কাজেও ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৪। অনলাইন মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং বা ফেসবুক মার্কেটিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়া এবং বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধির কাজে অনলাইন মার্কেটিং তথা ফেসবুক মার্কেটিং বহুল প্রচলিত একটি মাধ্যম। এক্ষেত্রে ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে পেইড ক্যাম্পেইন রান করে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচুর মানুষকে আকৃষ্ট করা যায়। একটি ফেসবুকে পেজ এ নিজের পণ্য বা সেবা বিক্রি করার পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও Facebook থেকে টাকা আয় করা যেতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ মূলত কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রোমোট করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে একটি ইউনিক লিংক দেয়া হবে যেই লিংক ভিজিট করে যদি কেউ কোন প্রোডাক্টটি কিনে নেয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে কমিশন পাবেন।

ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে যোগদান করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

চাইলে সেই সব প্রতিষ্ঠানের হয়ে অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়ে দারুন ভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যেতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে, নিজের একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকাটা অনেক ফলপ্রসু।

৫। Influencer Marketing

অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পরিচিতি এবং পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য Influencer দের সাথে যোগাযোগ করে থাকে।

Influencer রা মূলত সেই সব ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তথা পেজে পোস্ট করে থাকে, যাতে করে ওই সকল প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সবাই জানে এবং পরিচিতিটা বৃদ্ধি পায়। আর এই কাজের বিনিময়ে তারা প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ থেকে নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট পেয়ে থাকে।

বর্তমানে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানই খুব দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যে অধিক কাস্টমার বা ফ্যান/ ফলোওয়ার বৃদ্ধির জন্য, জনপ্রিয় সব Influencer দের কাছে শরণাপন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং, আপনি চাইলে একজন Influencer হিসেবে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।

তবে, এক্ষেত্রে আপনার প্রোফাইল বা ফেসবুক পেজ এ কোয়ালিটি কন্টেন্ট থাকতে হবে এবং প্রচুর ফ্যান/ ফলোওয়ার থাকতে হবে। তাহলেই কেবন বিভিন্ন কোম্পানি স্পন্সর পোস্ট বা প্রোমোট করার অফার পেতে পারেন।

৬। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে

আমরা অনেক সময় ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং, গল্পগুজব কিংবা ফেসবুক ভিডিও দেখার মধ্য দিয়ে সময় কাটাই। কিন্তু, এই কাজগুলো যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার(Social Media Manager) হিসেবে করা যায়, তাহলে ফেসবুক থেকে আয় করার কিন্তু বেশ ভালো পরিমাণ আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা সাধারণত এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির হয়ে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ বা অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ তথা পরিচালনা করে থাকে।

অনলাইনে এমন অনেক ব্যক্তিগত বা বিজনেস কোম্পানি রয়েছে, যাদের বিজনেস পেজ, গ্রুপ বা অ্যাকাউন্টগুলো ম্যানেজ তথা সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এক্সপার্ট সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের হায়ার করে থাকে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা সাধারণত যেসব কাজ গুলো করে থাকে। যেমনঃ

  • ফেসবুক বিজনেস পেজ এবং গ্রুপ পরিচালনা করা
  • ফেসবুক পেজ এর জন্য নতুন পোস্ট তৈরি করা এবং পাবলিশ করা
  • ফেসবুক পেজ এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ছবি বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করা
  • গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যা বা প্রশ্নের উত্তর দেয়া
  • ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন(Paid Campaign) রান করা বা এবং সেগুলো ভালভাবে পর্যালোচনা করা
  • পেজ এ ভিজিটর বা ফলোওয়ারদের সংখ্যা বাড়ানো বা Engagement বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।

সুতরাং, আপনিও যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে থাকেন বা এ ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে ফেসবুক সহ অন্যান্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর ব্যবহার শিখে নিয়ে, এই কাজগুলো করার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

আপনি চাইলে সরাসরি ফেসবুকেই কাজ খোঁজার পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতেও একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

৭। ফ্রিল্যান্সিং জব

ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্স জব(Freelance Jobs) বা কাজ খুজে পাওয়ার জন্য ফেসবুক হতে পারে সেরা একটি প্লাটফর্ম। ফ্রিলান্সারদের অনেক সময় ফ্রিলান্সিং কাজ খুজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। আবার ফ্রিল্যান্সিং সাইট(Freelancing Websites) গুলোতে অধিক প্রতিযোগিতা থাকায়, নতুন অনেক ফ্রিলান্সারদের পছন্দ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

চাইলে ফেসবুককে কাজে লাগিয়েও নতুন ক্লাইন্ট বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। ফেসবুকে এমন অনেক পেজ বা গ্রুপ পাওয়া যাবে, যেগুলোতে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ধরনের কাজের অফার পাওয়া যায়।

যেমন, কন্টেন্ট/আর্টিকেল রাইটিং থেকে শুরু করে, ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, সহ আরও অনেক ধরনের কাজ।

তাই, আপনিও যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন বা অনলাইন কোন কাজে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে, কিন্তু নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুজে না পান , সেক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করে আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত কাজের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারেন বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপ গুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে।

পরিশেষে

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় বা ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো কি কি এসব বিষয় আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

যদিও ফেসবুকে আয় করার আরও অনেক উপায় রয়েছে, কিন্তু সঠিক ভাবে আয় করতে হলে অবশ্যই হাতে যথেষ্ট সময় এবং ধর্য নিয়ে কাজ করতে হবে, তাহলেই কেবল আয় করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

Leave a Reply