বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়। অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস কে ব্যবহার করে প্রচুর টাকা আয় করছেন।
কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা জানেন না কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে টাকা আয় করা যায় বা ওয়ার্ডপ্রেস কি, কেন এটি সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। আবার অনেকেই আছেন যারা নতুন ওয়ার্ডপ্রেস শিখছেন কিন্তু জানেননা কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করা যায়।
পাশাপাশি অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস এ যথেষ্ট এক্সপার্ট হওয়া সত্ত্বেও সঠিক তথ্য বা আয়ের উপায় জানা না থাকায় ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত কাজ খুজে পাননা এবং সে অনুযায়ী টাকা আয়ও করতে পারেনা।
যাইহোক, ওয়ার্ডপ্রেস হল বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ব্লগ পাবলিশিং টুল এবং সেরা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। এর ব্যবহার সহজ এবং User-Friendly হওয়ায় এর ব্যবহার এবং জনপ্রিয়তা সব চেয়ে বেশি। যেকেউ চাইলে এই সফটওয়্যার টিকে ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারে।
ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার অনেক গুলো মাধ্যম আছে যে মাধ্যমগুলো জানা থাকলে সহজেই আয় করা যেতে পারে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক WordPress থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যেতে পারে।
ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার উপায় (How to Make Money with WordPress Bangla)
১। ফ্রিলান্সিং (Freelancing)
ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করে তথা ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের ছোট বড় প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ওয়ার্ডপ্রেস কে ব্যবহার করে থাকে। আর এইসব প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট তৈরি করতে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে।
বর্তমানে বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যেমন- Fiverr, Upwork, Freelancer.com এইসব সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।
এইসব ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ কাজ করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে খুব ভাল জ্ঞ্যান ও দক্ষতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হন আপনি খুব ভালভাবেই ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ করার জন্য অনেকগুলো ক্যাটেগরি বা ক্ষেত্র রয়েছে। কমন যে ক্যাটেগরি গুলো- যেমন Full Website Design and Development, Theme Customization, Plugin or Extension Development, Website Speed Optimization, Error and Bug fixing, eCommerce Site development, Payment Gateway setup, Website Transfer or Migration, Website Security, WordPress SEO, ইত্যাদি সহ নানারকম কাজের চাহিদা বা ক্ষেত্র রয়েছে।
আপনি যেই বিষয়ে ভাল দক্ষ সেটি দিয়েই কাজ করতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
২। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট করে আয়
ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম ডেভেলপমেন্ট করার মাধ্যমে খুব ভাল পরিমাণ আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে, থিম ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডেভেলপার হতে হবে।
বর্তমানে হাজারো রকমের ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে। আর এইসব ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইউজার এবং ডেভেলপাররা বিভিন্ন প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করে থাকে। এইসব প্রিমিয়াম থিম দিয়েই হাই কোয়ালিটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর জন্য বিভিন্য ক্যাটেগরির থিম ডেভেলপমেন্ট করা হয়ে থাকে। যেমন, blog, portfolio, agency, restaurant, small business, corporate, food, real-sate, educational, eCommerce আরও অনেক।
আপনার যদি প্রোগ্রামিং স্কিল থাকে বা একজন ভাল মানের ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য থিম ডেভেলপমেন্ট করে আয় করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম বিক্রি করার সব থেকে বড় মার্কেটপ্লেস হল ThemeForest । এখানে আপনার তৈরি করা থিমগুলো খুব ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন।
অথবা আপনি আপনার স্কিলকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানএর হয়ে কাজ করতে পারেন অথবা ফিক্সড জব ও করতে পারেন।
এছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিলান্সিং সাইট রয়েছে যেগুলোতে একজন থিম ডেভেলপার হয়ে ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন।
৩। প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট (Plugin Development)
ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি চমৎকার এবং শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য হল প্লাগিন এর ব্যবহার। প্লাগিন ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবসাইট এর যেকোনো ফিচার যুক্ত করা বা ওয়েবসাইট এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়।
একটি ওয়েবসাইট কে পরিপূর্ণ রুপ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্লাগিনের ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে মার্কেট এ থিমের পাশাপাশি প্লাগিন এর চাহিদাও ব্যাপক।
আপনি চাইলে আপনার ডেভেলপ করা প্লাগিন গুলো সরাসরি মার্কেটপ্লেস এ বিক্রি করতে পারেন। এরকম জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস যেমন Themeforest or Codecanyon.
অথবা আপনি নিজেই আপনার তৈরি করা প্লাগিন গুলো নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সরাসরি সেল করতে পারেন।
এছাড়া, বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে থিম বা প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করে দিয়ে আয় করা যেতে পারে। পাশাপাশি কোন প্রতিষ্ঠানের ফিক্সড জব করার মাধ্যমেও একজন থিম বা প্লাগিন ডেভেলপার হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।
৪। Selling Online Courses (ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স বিক্রি)
ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। নতুন নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীরা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে ভালভাবে পরিচালনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস এর বিভিন্ন কোর্স করে থাকে।
আপনি যদি খুব ভাল ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত বেশ ভাল জ্ঞ্যান থাকে, তাহলে আপনি আপনার সেই দক্ষতা বা জ্ঞ্যানকে কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস পেইড কোর্স তৈরি করতে পারেন । আর পেইড কোর্স গুলোকে অনলাইনে সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে কোর্স গুলো বিক্রি করা যায় খুব ভাল দামে। এরকম একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যেমন Udemy ।
অথবা আপনি সরাসরি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা পেইড মেম্বারশিপ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেও কোর্স বিক্রি করতে পারেন।
আপনি চাইলে ইউটিউবকে ব্যবহার করে অন্যদেরকে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে সাহায্য করা যেতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন এবং চ্যানেলটিকে বিভিন্ন উপায়ে Monetization এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
৫। Starting a Blog (ব্লগ থেকে আয় )
ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল ব্লগিং বা নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করা।
অনলাইন থেকে passive Income করার উপযোগী মাধ্যম হল ব্লগিং। ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায় বিধায় ব্লগিং নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
ব্লগ এর জন্য বা ব্লগিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি সেরা প্লাটফর্ম । ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট নিমিষেই বানিয়ে ফেলা যায় কোন ধরনের কোডিং জ্ঞ্যান ছাড়াই। তাছাড়া এর ব্যবহার ও খুব সহজ।
ব্লগ ওয়েবসাইট সেটআপ করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের হাজারো রকমের থিম আছে। যেগুলো কাস্টমাইজ করে একটা সুন্দর ওয়েবসাইট বানানো যায়। এমনকি wordpress.org এ অনেক ফ্রী থিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করেও চমৎকার ব্লগ সাইট বানানো সম্ভব।
ব্লগিং করার জন্য কোন একটি বিষয় বা নিশ বাছাই করে আর্টিকেল রাইটিং বা লেখালিখি করতে পারেন। ব্লগ থেকে আয় করার অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে প্রধান যে মাধ্যম গুলো যেমন, Display Advertisements, Affiliate Marketing, Sponsorship, Product Selling ইত্যাদি।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং- Affiliate Marketing
ব্লগিং এর মত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও একটি জনপ্রিয় উপায় অনলাইন থেকে আয় করার।
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কিভাবে এটি কাজ করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে কোন একটি কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে হবে, এবং তারপর আপনি আপনার ওয়েবসাইটে সেই কোম্পানির পণ্য বা সেবা সমুহ রিকমেন্ড করবেন ।
ওই কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট এর ইউনিক অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দেয়া হবে, যেই লিঙ্ক এ ক্লিক করে যদি কেউ প্রোডাক্টটি কিনে নেয় তাহলে সেই কোম্পানি আপনাকে একটি কমিশন দিবে আর এটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট কমিশন।
যাইহোক, ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে সহজেই আপনার একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আর সেই ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
৭। Consulting/ Maintenance Service
ফ্রিলান্সিং এর পাশাপাশি অনলাইন কন্সাল্টান্ট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস মেইন্টেনেন্স সার্ভিস প্রোভাইডার হিসাবেও কাজ করা যায়।
প্রায় সময় ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন সমস্যা হয়ে থাকে বা Maintenance এর প্রয়োজন পড়ে। যেগুলো একজন নন প্রোগ্রামার এর জন্য সমাধান করা সম্ভব হয়না।
এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী পাওয়া যাবে, যাদের ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন সমস্যা বা মেইন্টেনেন্স সার্ভিস এর জন্য একজন ভাল ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট এর দরকার হয়।
তাই আপনি চাইলে এরকম সেবা দিতে পারেন ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে অথবা আপনার নিজস্ব একটি Consulting Business ওয়েবসাইট খুলে যেখানে আপনি আপনার ক্লাইন্টদেরকে এই সব সার্ভিসগুলো অফার করতে পারেন।
তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে একজন ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হতে হবে এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিং স্কিলগুলোতে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে।
৮। ইকমারস ওয়েবসাইট (eCommerce/ Dropshipping)
একটি ইকমারস ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে অনলাইনে যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবা বিক্রি করা যায়। আর ইকমারস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং পরিচালনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি সেরা প্লাটফর্ম।
যেকেউ চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে খুব সহজেই একটি ইকমারস ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস একটি চমৎকার প্লাগিন রয়েছে যার নাম WooCommerce. এটি ব্যবহার করে ইকমারস ওয়েবসাইট অধিকাংশ কাজগুলো সম্পন্ন করা যায়।
ইকমারস ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রচুর থিম পাওয়া যায়। একটি প্রিমিয়াম থিম কিনে সেটিকে ভাল ভাবে কাস্টমাইজ করে আপনি আপনার মত করে ইকমারস ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং আপনার পণ্য বা সেবা অনলাইনে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
এছাড়া, DropShipping Business এর জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে পরিচালনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস কে ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা Dropshipping ব্যবসা শুরু করতে চান তারা ওয়ার্ডপ্রেস কে ভালভাবে শিখে নিয়ে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।
৯। এসইও (Search Engine Optimization )
একটি ওয়েবসাইট কে Search Engine এ রাঙ্ক করাতে গেলে অবশ্যই SEO (Search Engine Optimization) করতে হয়।
আর তাই একটি ওয়েবসাইটকে Search Engine Friendly করার জন্য Speed optimization, content management, link-building, on page SEO সহ নানাবিষয়ক কাজ গুলো করতে হয়।
এমন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী আছেন যাদের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কে ভাল ভাবে Search Engine Optimization করতে হয়, কিন্তু সবাই পারেনা বিধায় অনলাইনে ফ্রিলান্সারদের এইসব কাজ দিয়ে থাকে।
যার ফলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে এখন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর জন্য এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা বাড়ছে।
একজন ওয়ার্ডপ্রেস এসইও এক্সপার্ট হিসাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর এসইও করে দেয়ার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। যদি আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন।
১০। ফিক্সড জব (Fixed Job)
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফিক্সড জব করা যায়।
এমন অনেক অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান আছে যাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট পরিচালনার যাবতীয় কাজ গুলো করার জন্য একজন পেশাদারী ডেভেলপার কে হায়ার করা হয়। দেশী বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রতিষ্ঠান এর জন্য এসব লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর পাশাপাশি এখন দেশীয় অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে আসছে। ফলে তাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য বা মেইনটেইন করার জন্য বিভিন্ন জব এর অফার করে থাকে।
তাছাড়া, দেশীয় বিভিন্ন ইকমারস প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা বা ইকমারস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে, ওয়েবসাইট পরিচালনার সহ ওয়েবসাইটের নানা বিষয়ক কাজের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারকে কাজ দিয়ে থাকে।
সুতরাং বলাই চলে দেশীয় বাজারে এখন ডেভেলপারদের চাহিদা বেশ।
১১। Flipping Website (ওয়েবসাইট বিক্রি)
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ফ্লিপিং বা বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমেও আয় করা যায়। আপনার তৈরি করা ব্লগ বা ওয়েবসাইট অন্যদের কাছে বিক্রি করার দেয়ার মাধ্যমে খুব ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট সহ অন্যান্য বিষয় গুলোতে দক্ষ হওয়া জরুরী।
ভাল দামে ওয়েবসাইট বিক্রি করার জন্য আপনার যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেমন- ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকা, ডিজাইন সুন্দর হওয়া, ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণ সহ আরও অনেক গুলো বিষয় এ নজর দেয়া জরুরী। এর জন্য আপনাকে যথেষ্ট সময় এবং পরিশ্রম দিতে হবে।
অনলাইনে বেশ কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা মারকেতপ্লেস আছে যেগুলোতে ওয়েবসাইট বিক্রি করা যায়। এরকম একটি জনপ্রিয় সাইট হল flippa.com ।
পরিশেষে
তাহলে আপনারা জানলেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি উপায়ে আয় করা যায় বা ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার পদ্ধতিগুলো কি কি।
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে হবে এবং এতির ব্যবহার শিখে নিয়ে তারপর বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারেন।