১১টি সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব যা ঘরে বসে করা যাবে

You are currently viewing ১১টি সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব যা ঘরে বসে করা যাবে

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এখন যেকেউ চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার বিনিময়ে আয় রোজগার করতে পারে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

অনেকে ফ্রিল্যান্সিংকে পার্ট টাইম জব এবং ফুল টাইম জব হিসেবেও নিয়ে থাকে। ঘরে বসে নিজের ইচ্ছে মাফিক অনলাইনে কাজ করা যায় বিধায় এই কাজে প্রায় সবারই আগ্রহ রয়েছে।

যেকোনো শ্রেনি পেশার মানুষ যেমন ছাত্র/ছাত্রী, চাকুরীজীবী কিংবা গৃহিণী, চাইলে নিজের অতিরিক্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করতে পারে।

অনলাইনে এমন অসংখ্য কাজ রয়েছে যেগুলোর প্রত্যেকটি কাজের আবার আলাদা আলাদা ক্যাটেগরি রয়েছে।

চাইলে এই সব কাজগুলোর কোন একটি ক্যাটেগরিকে বাছাই করে সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে অনলাইন পার্ট টাইম জব (Online Part Time Job) শুরু করা যেতে পারে।

যাইহোক, এই পোস্ট থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন কয়েকটি সেরা এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন কাজের তালিকা সম্পর্কে। যেগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি বিষয়কে বাছাই করে নিতে পারেন, অর্থাৎ আপনার যেই বিষয়ে বেশ ভালো ধারণা আছে বা আগ্রহ আছে।

চাইলে সেই বিষয়ের ওপর অনলাইন পার্ট টাইম জব শুরু করে দিতে পারেন এবং অনলাইন থেকে বেশ ভালো পরিমাণ আয় রোজগার করতে পারেন।    

সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব এর তালিকা- Best Online Part Time Jobs List

১। আর্টিকেল/ কন্টেন্ট রাইটিং- Article/Content Writing

বর্তমানে আর্টিকেল রাইটার বা কন্টেন্ট রাইটারদের চাহিদা সব থেকে বেশি। অনলাইন জগতে এখন সব চেয়ে বেশি কম্পিটিশন শুধুমাত্র ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরিকে কেন্দ্র করে।

যার ফলে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কন্টেন্ট রাইটারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাছাড়া, আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং(Content Writing) খুবই লাভজনক একটি কাজ এবং এই কাজের মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

আপনার যদি লেখা লেখি করার অভিজ্ঞতা থাকে বা কন্টেন্ট লেখালিখিতে যথেষ্ট পারদর্শী হন, তাহলে কন্টেন্ট রাইটিংকে পার্ট টাইম জব অথবা চাইলে ফুল টাইম জব হিসেবেও নিতে পারেন।

কন্টেন্ট রাইটিং সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন ব্লগ, ম্যাগাজিন, নিউজ ওয়েবসাইট, ই-বুক, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইত্যাদি সহ আরও অনেক।

একজন ভালমানের কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে ভালভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে লেখালিখির কাজে প্রয়োজনীয় রিসার্চ করার যোগ্যতা, লেখালিখির জন্য কোন একটি বিষয় বা টপিক এর ওপর ভালোভাবে জ্ঞ্যান অর্জন করা এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এর ব্যবহারও ভালো ভাবে জানতে হবে।

যেহেতু ইংরেজি ভাষার কন্টেন্ট এর চাহিদা সব থেকে বেশি এবং লাভজনক সুতরাং ইংরেজি ভাষার ওপর যথেষ্ট দক্ষতা এবং পারদর্শিতা থাকতে হবে।

পার্ট টাইম কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে টাকা আয় করার জন্য অনলাইনে জনপ্রিয় বেশ কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে, যেমন Fiverr, UpWork, Freelancer.com, iWriter, Indeed ইত্যাদি। এই সব প্লাটফর্ম গুলোতে চাইলে একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে টাকা আয় করা যেতে পারে।

২। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার- Social Media Manager

অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার(Social Media Manager) হিসেবে কাজ করা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারদের বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে এবং যেকেউ চাইলে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা সাধারণত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বা বিজনেস পেজ ম্যানেজমেন্ট করে থাকে।

অর্থাৎ, পেইজ এর জন্য পোস্ট তৈরি এবং পাবলিশ করা, কমিউনিটি গড়ে তোলা, লাইক এবং কমেন্ট বা Engagement বৃদ্ধি করা, প্রোডাক্ট প্রমোশন, গ্রাহকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া, মেসেজিং, মার্কেটিং সহ সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের Branding Awareness বৃদ্ধি করার কাজগুলো করতে হয়।

যেহেতু, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ সুতরাং যাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে তারা চাইলে খুব সহজেই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে পার্ট টাইম অনলাইন জব শুরু করতে পারেন।

তাছাড়াও, অন্য যেকেউ চাইলে এই বিষয়ে কিছুটা দক্ষতা অর্জন করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ দেশীয় কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ গুলোকে Part Time Job হিসেবে করতে পারে।

৩। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং- Social Media Marketing Job

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা গুলোকে সবার কাছে পোঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে Social Media Marketing এর গুরুত্ব বর্তমানে সব থেকে বেশি।

এখন প্রায় বেশির ভাগ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গুলো নিজেদের ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে থাকে। আর এ কাজের জন্য তারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের হায়ার করে থাকে।

সুতরাং, চাইলে আপনিও একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার (Social Media Marketer) হিসেবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জন্য মার্কেটিং এর কাজ করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই কাজ গুলোকে চাইলে আপনি অনলাইন পার্ট টাইম জব (Online Part Time Job) কিংবা ফুল টাইম জব (Online Full-Time Job) হিসেবেও করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কিত কাজ গুলো পাওয়া যায় বেশ কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে- যেমন Fiverr, UpWork, Freelancer.com ইত্যাদি।

৪। ডাটা এন্ট্রি- Data Entry

অনলাইন পার্ট টাইম জব গুলোর মধ্যে সব থেকে সেরা এবং জনপ্রিয় কাজটি হল ডাটা এন্ট্রি। তুলনামুলক ভাবে অন্যান্য কাজের তুলনায় Data Entry এর কাজ গুলো সহজ হওয়ায় এই কাজের প্রতি কম বেশি সকলেরই আগ্রহ রয়েছে।

তাছাড়া, ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করার জন্য খুব বেশি দক্ষতা অর্জন করার প্রয়োজন হয়না যার ফলে খুব সহজেই এবং খুব দ্রুত এই কাজ শিখে ফেলা যায়। চাইলে অন্য যেকোনো কাজের পাশাপাশি ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে এটিকে পার্ট টাইম জব হিসেবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ডাটা এন্ট্রি এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। আর এই কাজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগিতাও। আর তাই নিজেকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে নিতে এবং নিয়মিত কাজ পাবার জন্য দরকার ধৈর্য ও পরিশ্রম।

এই কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করার পাশাপাশি এই কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস ব্যবহারে দক্ষতা এবং টাইপিং স্পীড বাড়াতে হবে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলোতে যত বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে তত বেশি ক্লাইন্ট বা কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

৫। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট- Virtual Assistant Part Time Job

ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট টাইম জব করার আরেকটি বেশ জনপ্রিয় উপায় হল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট(Virtual Assistant) হিসেবে কাজ করা। বর্তমানে অনলাইনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রচুর কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় দিন দিন অনলাইন কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যার ফলে অনেক কোম্পানি কিংবা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিভিন্ন অনলাইন কাজ গুলো ম্যানেজমেন্ট করার কাজে অভিজ্ঞ জনবল দরকার হয়ে থাকে।

আর এসব কাজ গুলো করে থাকে মূলত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রা। যারা মূলত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে অনেক রকমের কাজ যেমন, ইমেইল কালেকশন/ ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট, পোস্ট তৈরি এবং প্রকাশ করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা, ডাটা এন্ট্রি, প্রেজেন্টেশান ডিজাইন, মিটিং ম্যানেজমেন্ট, গ্রাহক সেবা প্রদান ইত্যাদি সহ আরও অনেক ধরনের কাজগুলো সম্পাদন করতে হয়।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ গুলো মূলত অনেকটা ঘরে বসে অফিসের কাজ করার মত। এই কাজ গুলো যেকেউ চাইলে পার্ট টাইম জব হিসেবে করতে পারে। বিশেষ করে ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জব (Virtual Assistant Jobs for Students) বেশ জনপ্রিয়।

৬। গ্রাফিক্স ডিজাইন- Graphics Design

যাদের মূলত ডিজাইন করার দক্ষতা বেশ ভালো এবং এই বিষয়ে যাদের আগ্রহ বেশি তারা চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে পার্ট টাইম জব শুরু করতে পারে।

বর্তমানে অনলাইন কাজ গুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং খুবই লাভজনক একটি কাজ। বিশেষ করে অনলাইন জগতে এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের দরকার হয়ে থাকে। যার ফলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে।

তাই আপনি চাইলে একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে। অর্থাৎ আলাদা আলাদা কাজের ক্যাটেগরি রয়েছে যেমন, Logo Design, Business Card, Poster, Flyer, Website Design ইত্যাদি সহ আরও অনেক।

চাইলে এইসব ক্যাটেগরির যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর নিজের দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে পার্ট টাইম গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করা যেতে পারে।

৭। ওয়েবসাইট ডিজাইন- Website Design

আপনার যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পর্কে ভালো দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার হিসেবে পার্ট টাইম জব শুরু করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডিজাইনারদের আয়ের পরিমাণ তুলনামুলক ভাবে একটু বেশি থাকে।

বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন করা এবং ডেভেলপমেন্ট করার জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোকের দরকার হয়ে থাকে। তাছাড়া, এই কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

তবে একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার হিসেবে পার্ট টাইম অনলাইন জব শুরু করার জন্য আপনাকে ডিজাইন সম্পর্কিত কাজের ওপর বেশ ভালো দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। কেননা এই কাজের চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনি কাজের বেশ প্রতিযোগিতাও রয়েছে।

৮। ফটোগ্রাফি (Photography)- Selling Photos online

অনেকে শখের বশে ফটোগ্রাফি করে থাকে। কিন্তু চাইলেই ফটোগ্রাফি করার শখটিকে প্রফেশনাল কাজে লাগিয়ে পার্ট টাইম জব হিসেবে অনলাইন থেকে সহজেই টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।

অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম বা স্টক ফটোগ্রাফি মার্কেট রয়েছে, যেগুলোতে নিজের তোলা ছবি বা ফটো বেশ ভালো দামে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে।

অনলাইনে বেশ কিছু জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেমন, Alamy, Shutterstock, iStockphoto, Fotolia ইত্যাদি প্লাটফর্ম গুলোতে ফটো বা ভিডিও ফুটেজ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা যায়। যেকেউ চাইলে ফটোগ্রাফিকে পার্ট টাইম জব হিসেবে নতুন আয়ের পথ তৈরি করে নিতে পারে।

যেহেতু এই কাজের জন্য খুব বেশি দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার দরকার হয়না, ফলে যেকেউ নিজের ইচ্ছে মাফিক ফটোগ্রাফি করে টাকা আয় করতে পারে।

তবে ভালমানের অর্থাৎ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি করার জন্য ফটোগ্রাফি করার সঠিক কৌশল তথা নিয়ম কানুন গুলো ভালভাবে জানা থাকতে হবে। কেননা মার্কেটপ্লেস গুলোতে সব থেকে সেরা এবং প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির চাহিদা এবং বিক্রির পরিমাণ সব থেকে বেশি।

৯। অনলাইন টিউটর (Online Tutor)

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা বা টিউটর পেশা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কেননা এখন চাইলেই যেকোনো বিষয়ের ওপর অনলাইন কোর্স (Online Course) পাওয়া যায়। ফলে ঘরে বসেই যেকেউ কোন একটি বিষয়ের ওপর অনলাইন কোর্স করার মাধ্যমে নিজের জ্ঞ্যান বা দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে।

তাছাড়া, অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর অনলাইন কোর্স পাওয়া যায়। চাইলে এইসব প্লাটফর্ম গুলোতে নিজের তৈরি করা কোন কোর্স বিক্রি করা মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমাণ আয় করা সম্ভব।

আপনার যদি কোন বিষয়ের ওপর দক্ষতা থাকে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভাষা শিক্ষা, বা অন্য যেকোনো বিষয়ের অভিজ্ঞতা থাকলে সেই বিষয়ে নিয়ে ভিডিও কোর্স তৈরি করতে পারে। আর সেগুলো বিভিন্ন অনলাইন কোর্স মার্কেটপ্লেস (Online Course Selling Marketplace) গুলোতে বিক্রি করে দিতে পারেন।

ইংরেজির পাশাপাশি এখন বাংলা ভাষাতেও এখন প্রচুর অনলাইন কোর্স বিক্রি হয়ে থাকে। তাছাড়া বাংলাদেশে বেশ কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে কোর্স বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে।

সুতরাং, অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য Part Time Job হিসেবে অনলাইন টিউটর পেশা দারুন একটি উপায় হতে পারে।

১০। ব্লগিং – Part Time Blogging

পার্ট টাইম অনলাইন জব গুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এবং উপযোগী একটি মাধ্যম হল ব্লগিং। এটিকে চাইলে ফুল টাইম জব হিসেবেও নেয়া যেতে পারে।

অনলাইন লাভজনক জব গুলোর মধ্যে ব্লগিং খুবই জনপ্রিয়। কেননা, যেকেউ চাইলে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ব্লগ বা ওয়েবসাইট শুরু করে দিতে পারে। আর সেই ব্লগে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আসা শুরু করবে তখন বিভিন্ন উপায়ে সেই ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে।

একটি ব্লগ থেকে বেশ কয়েকটি উপায়ে টাকা আয় করার সুযোগ রয়েছে, যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ, বিজ্ঞাপন, পণ্য বা সেবা বিক্রি, ইত্যাদি সহ আরও অনেক।

ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে কোন একটি বিষয়ের ওপর অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিতে হবে। এরপর সেই ব্লগে নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে। আর যখন ব্লগটিতে ভিজিটরদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে তখন বেশ কয়েকটি উপায়ে ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

ব্লগ থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করার জন্য অবশ্যই ব্লগে যথেষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে এবং কিভাবে ব্লগে পর্যাপ্ত ভিজিটর নিয়ে আসা যায় সেই বিষয় গুলো জানা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ

১১। ভিডিও এডিটিং- Video Editing

অনলাইনে বর্তমানে যেসব কাজের জনপ্রিয়তা সব থেকে বেশি তার মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হল ভিডিও এডিটিং। বিশেষ করে অনলাইন জগতে ভিডিও নির্মাতাদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞাপনের জন্যই হোক বা অন্য যেকোনো কাজের জন্য হলেও প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং এর দরকার হয়ে থাকে। তাছাড়া, নানারকম ইউটিউব চ্যানেলের জন্য প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরি এবং সেগুলো এডিট করার কাজে ভিডিও এডিটরদের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাইহোক, আপনার যদি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে আগ্রহ থাকে বা ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে ভিডিও এডিটিংকে চাইলে আপনি পার্ট টাইম জব হিসেবে নিতে পারেন।

চাইলে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন Freelancing Marketplace গুলোতে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস দিতে পারেন অথবা চাইলে অফলাইন অর্থাৎ দেশীয় কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের হয়েও পার্ট টাইম জব করতে পারেন।

পরিশেষে

ঘরে বসে অনলাইন পার্ট টাইম জব করে আয় রোজগার করার অনেক উপায় আছে। বিশেষ করে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অসংখ্য কাজ রয়েছে এবং প্রতিটি কাজের একেক রকম ক্যাটেগরি রয়েছে।

চাইলে কোন একটি ক্যাটেগরি বাছাই করে সে অনুযায়ী স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যেতে পারে অথবা এটিকে অনলাইন পার্ট টাইম জব হিসেবে করা যেতে পারে।

যাইহোক, এই কাজগুলো পার্ট টাইম জব হলেও, এগুলো করে রাতারাতি টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়। মূলত এইসব কাজগুলো করে টাকা আয় করার জন্য কিছুটা দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন।

কেননা, অনলাইনে প্রতিটি কাজে দিন দিন প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছে। আর তাই নিজেকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে নিতে শুরুতে কিছুটা সময় ব্যয় করে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। তাহলেই কেবল কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

This Post Has 2 Comments

  1. mdharun

    Ami korte cai vai

  2. mounzil

    good

Leave a Reply